মঞ্চে “গ্যালিলিও” দেখে ছিলাম। আর “ম্যাকবেথ”। তবে নূরুলদীনের কথা অধিক মনে পড়ে যায়। প্যাস্টেল রঙা ফতুয়া পরা খানিক পৃথুল নূরুলদীনে রূপী আলী যাকের বালিকা বধূ আম্বিয়ার মান ভাঙাচ্ছেন। জঙ্গে যাচ্ছেন। চিৎকার করে উঠছেন,
[ জাগো বাহে, কোনঠে সবাই আমার তরুণ রক্ত টগবগ করে উঠছে ] আবৃত্তির গ্রুপে তাঁকে প্রশিক্ষক হিসেবে পেয়ে ছিলাম। একদিন টেনিস ক্লাবে ক্লাসে স্বপ্নোত্থিতের মতো বল ছিলেন, সারাদিন কাজ করি কর্পোরেট দাস হয়ে। বিজ্ঞাপন বানাই, ক্লায়েন্ট মিট করি, সন্ধ্যা হলেই নেশার মতো মঞ্চের রিহার্সাল আমাকে টানে। মনে হয় সারাদিনে জমেছে যত টক্সিক শরীর আর মনে, মঞ্চে গেলে সেসবের ডিটক্সিফিকেসন হয়। আমার শরীর থেকে নেমে যায় পুঁজির বিষ…
কেন বলে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণ ছেলে মেয়েদের তিনি এইসব? কোথাও কি কথা ছিল কোনও ভেঙে দেবেন এ অন্ধকূপ? দেখে ছিলেন পিটিপিটি চোখে বণিক সভ্যতার রূপ? কোথাও কি রোপণ করতে চেয়ে ছিলেন কোনও স্বপ্নের বীজ?
আলী যাকের, শিল্প হচ্ছে অর্থহীন জীবনকে অর্থপূর্ণ করার এক চেষ্টা মাত্র। আপনি বিরামহীন করে গেছেন সেই চেষ্টা। আজ আমার মন খারাপ। সত্যিকারের মন খারাপ লাগছে আমার।